১। প্রথমেই শুরু করি অনলাইন দিয়ে। আপনি যখন কাউকে মেসেজ দিবেন, তিনি যদি এমন কেউ হোন যার অনেক মেসেজ আসে, আপনার পরিচিত কেউও নন, তাহলে— “ভাই!”, “ভাই আছেন?”, “কেমন আছেন ভাই?”, “আসসালামু আলাইকুম”, “ভাই একটা কথা ছিল”… এভাবে স্টার্ট করবেন না।
কারো কনভারসেশন চালানোর সময় নেই আসলে। একবারেই কাজের কথা বলুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিপ্লাই পাবেন বলে আশা করা যায়। আর না পেলেও হতাশার কিছু নেই। পৃথিবীতে কে কাহার!
২। মেয়েদের নিজেদের মধ্যকার কমেন্টে গিয়ে বাম হাত ঢুকাবেন না। তাদের সাথে অযথা কমেন্ট চালাচালি করবেন না। ইনবক্সে গিয়ে ফ্লার্টিং করবেন না। একান্তই যদি কিছু আসলেই জানার দরকার হয়, সেক্ষেত্রে ১ নং-এ বর্ণিত এটিকেট ফলো করুন।
৩। কাউকে ফোন দিলে সর্বোচ্চ ২ বার দিন। কলের পর কল করে যাওয়া অর্থহীন। দুইবারে যদি কেউ ফোন রিসিভ না করে, তাহলে মেসেজ দিয়ে রাখুন।
৪। ছেলে হিসেবে মনে রাখতে হবে, সব জায়গায় কান্নাকাটি করা আপনার কাজ না। ফেসবুকে আপনি “সারাদিন” পুরুষের কষ্ট-বেদনা-হাহাকার, সিস্টেমের দোষ এসব লিখবেন না। কষ্টের কথা মাঝেমধ্যে শেয়ার করা যায়, কিন্তু রুটিন করে এই কাজ করা আপনার দুর্বলতাই প্রকাশ করে। পুরুষ মানুষ সবার সিম্পথি চাবে কেন? দুনিয়ার সবকিছুতে প্রব্লেম না খুঁজে সমাধান দেখান।
৫। সবসময় নিজের দেয়া কমিটমেন্ট রক্ষা করবেন। ৫ টায় আসার কথা বলে ৭ টায় আসবেন না। আসতে না পারলে বা বেশি দেরি হলে আগেই জানিয়ে রাখবেন। অজুহাত দিবেন না। Apology প্রকাশ করবেন।
৬। নিজে যেই লাইনেই, যেখান থেকেই পড়াশোনা করেন না কেন, যে চাকরিই করেন না কেন, হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। নিজের পেশাকে স্মার্টলি জড়তা ছাড়া কনফিডেন্সের সাথে বলুন। “আমি কি ভাই আর আপনার মতো ভালো ছাত্র”, “এত ভালো চাকরি কি আমার মতো মানুষদের দিয়ে হয়” এসব ফকিন্নি টাইপ কথা বলবেন না। অন্যের চাহনি দেখে নিজের কনফিডেন্স হারাবেন না।
৭। চক্ষুলজ্জা ঝেড়ে ফেলুন, “লোকে কী বলবে” এই ধারণাকে কবর দেন। থার্ড ওয়ার্ল্ডের একটা দরিদ্র দেশে থেকে আপনার কীসের এত ভাব ভাই? IIT গ্র্যাজুয়েট ছেলেরা বাংলাদেশে এসে কর্পোরেট সেক্টরে তাদের স্টার্টআপের বয়ান দেয়, নিজে প্রোডাক্টের ব্র্যান্ডিং করে, সেল করে— তার মানইজ্জত যায় না? এই “সম্মানহানি”র কাজ করে সে কিছুদিন বাদে কামাবে কোটি টাকা, আর আপনার ফকিন্নি মার্কা মিথ্যা স্ট্যাটাস নিয়ে আপনি যেখানে ছিলেন সেখানেই পড়ে থাকবেন। হালাল কাজ এক্সপ্লোর করতে লজ্জাবোধ করবেন না।
৮। যতদিন ভার্সিটি লাইফে আছো, চেষ্টা করো সবথেকে বোল্ড ডিসিশনগুলো নেওয়ার (বিজনেস/স্টার্টআপ/বিয়ে)। এখনই সময় রিস্ক নেওয়ার, পরে আর সাহসে কুলাবে না। তোমার আব্বা আম্মা এখনও তোমার খরচ দেয়, কয়েকটা জায়গায় বাঁশ খেলেও তাই খুব একটা প্যারা নাই। তবে MLM টাইপের scam এর পেছনে লাফাইও না। Use your common sense.
৯। মেয়েদের পেছনে এফোর্ট দিয়ে টাইম নষ্ট করবা না। তুমি যদি কলেজ বা ভার্সিটিতে থাকো, তাহলে ৯০% চান্স যে এই মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে হবে না। শুধু শুধু নিজের বউ এবং তার স্বামীর হক মারতেছ। বিয়ের জন্য আগাতে চাইলে প্র্যাকটিকাল হও। কেউ তোমাকে হাজারটা শর্ত দিলে আগাবা না। এত শর্ত দেওয়া মানে তুমি লিস্টের শেষের দিকের ক্যান্ডিডেট। মনে রাখবা, Girls break the rules for her first priority and make the rules for others.